শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ছোট বড় হাটবাজারে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিনদিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে যে বয়সে শিশুদের বইখাতা, কলম হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ের যাওয়ার কথা সেই বয়সে শিশুরা হাতে তুলে নিয়েছে বাদামের ঝুড়ি, পাউরুটির ডালি, চায়ের কাপ, পাথর ভাঙ্গা হাতুড়ী ও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ।
আবার কেউ কেউ হোটেল বয়, রাজমিত্রীর সহকর্মী, পত্রিকার হকার ও বেবি টেম্পুর হেলপার। অনেকেই আবার মোটর গ্যারেজ, কলকারখানা, মুদি দোকান, ওয়েল্ডিং ও লেদ মেশিনের কাজ করছেন। কেউ কেউ ধানের কলের ধান মাড়াই, গৃহস্থালীর সকল কাজ করছেন।
আর্ন্তজাতিক নীতিমালা শিশু শ্রম সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বন্যা, অনাবৃষ্টি, নদী ভাঙ্গণ, কৃষি উপকরণ ও দ্রব্যমূল্য উধর্বগতি, অর্থনৈতিক সংকট, দারিদ্র ও জনসংখ্যাবৃদ্ধির ফলে শিশুগণ তাদের শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। অপর দিকে যে সমস্ত শিশু আজ জীবিকার সন্ধানে জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে হাড়ভাঙ্গা শ্রম দিচ্ছে তার বেশির ভাগই শিশু নির্যাতিত নিপীড়িত।
শিশু শ্রম সর্ম্পকে কয়েকজন সমাজ সচেতন নাগরিকের সাথে আলাপ করলে তারা সকলেই প্রায় একই কখা বলেছেন। শিশু শ্রমিকের বেতন তুলনামুলক ভাবে কম হওয়ায় এবং কাজে কোন ফাকি না থাকায় সকলেই এদের কাজে নিয়োগ করতে আগ্রহী। পেটের দায়ে শিশুরা ১২-১৬ ঘন্টা শ্রম দেয়।
জীবনে বাঁচার তাগিতে এসব শিশু শ্রমকি ১২/১৬ ঘন্টা শ্রম বিক্রি করে ভবিষৎ কর্মদক্ষতা নষ্ট করে ফেলছে। অল্প বয়সে পরিশ্রম করার ফলে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্ধ বা পঙ্গুত্ব বরণ করছে। এমনকি আবার অনেকেই মৃত্যুবরণ করছে।
বর্তমানে যে হারে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে তাতে মনে হয় আগামীতে এই শিশু শ্রমিক ও শিশুদের সমস্যা আরো প্রকট হয়ে দেখা দেবে। বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামুলক করার লক্ষে আংশিক পর্যায়ে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়েদের উপবৃত্তি চালু সত্যই প্রশংশার দাবিদার।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়