বেড়ায় চরের ৫ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল টুকু ফাউন্ডেশন

পাবনার বেড়া উপজেলায় চর অঞ্চলের নদী ভাঙনের শিকার ৫০০ নারী-পুরুষ মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন। অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু-অধ্যাপিকা লুৎফুন্নেচ্ছা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপিকা লুৎফুন্নেচ্ছার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

বৃশালিখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনার বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুর আলী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন বেড়া পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন, সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুব আলম বাচ্চু, সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন, ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসিফ শামস্ রঞ্জন প্রমুখ।

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে আগত রোগীদের কিডনি, হার্ট, গাইনি, অর্থোপেডিক, ডায়াবেটিস, নাক-কান-গলা, মেডিসিন, ডেন্টাল, বাতব্যাথা প্যারালাইসিসসহ সকল বিভাগে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এ সময় রোগীদের সচেতনতামূলক কার্যক্রমও পরিচালনা করা হয়।

স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা যমুনা পাড়ের জাহানারা খাতুন (৬৫) বলেন, টাকার অভাবে ডাক্তারের কাছে যেতে পারেননি তিনি। এখন টুকু ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা পেয়েছেন।

একই রকম কথা বলেন শেফালি খাতুন (৩৫)। তিনি বলেন, তারা নানান রকম রোগে ভুগলেও টাকার অভাব এবং করোনার জন্য কোথাও চিকিৎসা নিতে যেতে পারেননি। বড় ডাক্তার এসে তাদের বিনামূল্যে দেখেছে। এতে তারা খুব খুশি।

আনোয়ার হোসেন (৫০) নামের একজন জানান, এ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বড় ডাক্তাররা বিনামূল্যে তাদের দেখেছেন। তাদের শহরে যেতে হয়নি। শহর থেকেই তারা এসেছেন। এতে তারা উপকৃত হয়েছেন।

সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুব আলম বাচ্চু বলেন, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু-অধ্যাপিকা লুৎফুন্নেচ্ছা ফাউন্ডেশন একটি মহতী উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি সাঁথিয়াতেও এরকম ক্যাম্প করার জন্য আহ্বান জানান।

বেড়া পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন বলেন, বেড়ার অভাবী মানুষের জন্য এ রকম ক্যাম্প বিরাট উপকার বয়ে এনেছে। ক্যাম্পে রোগী দেখতে আসা বিএমএ জেলা সেক্রেটারি ডা. আকসাদ আল- মাসুর আনন জানান, অভাবী মানুষের সেবা করতে পেরে তারা নিজেরাও মানসিকভাবে তৃপ্ত।

অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, তার প্রয়াত স্ত্রী অধ্যাপিকা লুৎফুন্নেচ্ছার মৃত্যুদিবসে স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে অসহায় মানুষগুলো যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি তার প্রয়াত সহধর্মিনীর আত্মাও শান্তি পাবে বলে তিনি আশা করেন।