শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ শ্রাবণ ১১ ১৪৩১ ২০ মুহররম ১৪৪৬
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডর মেজর এহতেশামুল হক খান। এর আগে দুপুরের দিকে রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- চাটমোহরের অমৃতকুন্ডা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলাম (৩৩) তার ভাই আরিফুল ইসলাম (৩২), একই এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল (৪৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান (২৮) মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৪) ও পূর্ব টিয়ারতলা এলাকার হাবিবুর রহমান (২২)।
মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, চাটমোহর রেলস্টেশনে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে চাটমোহর স্টেশন থেকে রাজশাহী-ঢাকাগামী “সিল্কসিটি এক্সপ্রেস,পদ্মা এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস খুলনা-ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস, দিনাজপুর টু ঢাকা গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডর মেজর এহতেশামুল হক খানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল সোমবার দিন ব্যাপী চাটমোহর রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কালোবাজারি চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন ট্রেনের ৩৬টি আসনের টিকিট, সাতটি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রয়ের নগদ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা চাটমোহর রেলস্টেশনে সিন্ডিকেটের মূলহোতা শরিফুলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত রেলস্টেশনের কুলি, টোকাই, রিক্সাওয়ালা ও দিনমজুরদেরকে লাইনে দাড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতো। চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে প্রত্যেককে ১’শ করে টাকা দেয়া হতো। এছাড়াও চক্রটি কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীদের টিকিট কাটার সময় দেওয়া এনআইডি কার্ডেও নম্বও সংগ্রহ করে রাখতো। পওে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি কার্ডের দ্বারা চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতো। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতো।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়