পাবনায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’ জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ

পাবনায় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে মহান ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়েছে। ভাষার জন্য যারা তাদের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছে জাতির বীর সন্তানদের আজ হাতে হাতে বসন্তে ফোটা ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানান পাবনাবাসী।

এদিন সারা দেশের ন্যায় ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা, পরম মমতা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় স্মরণ করে পাবনাবাসীও। ফুলে ফুলে ছেঁয়ে যায় শহীদ মিনারের বেদি। দিবসটি পালনে করোনাকাল হওয়ায় বরাবরের মত আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার ঘাটতি ছিল না।

রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন কেন্দ্রীয় এই শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি একুশের মহান শহীদদের প্রতি এদিন শ্রদ্ধা জানান।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শহীদ মিনারের দিকে আসছেন। কেউবা ফুলের তোড়া, কেউবা একটি ফুল, আবার কারো হাতে একটি পতাকা শোভা পাচ্ছে। তবে সবার মুখেই ধ্বনিত হচ্ছিল একুশের সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি’।

একুশের প্রথম প্রহরে পাবনা সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, মহিলা এমপি নাদিরা ইয়াসমিন জলি, জেলা প্রশাসক মো: কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার মোহম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। এ ছাড়া পাবনা জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পাবনা প্রেসক্লাব, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটি, স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস, জেলা আওয়ামী লীগ, পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, জেলা বিএনপি, জেলা জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, ঐক্য ন্যাপ, অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি, পাবনা ড্রামা সার্কেলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রভাত ফেরিসহ পাবনার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। শহীদ মিনারে ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে ১ মিনিট নিরবতা পালন সহ বিভিন্ন সংগঠন আলোচনা সভার আযোজন করেন।

সকাল থেকে শ্রদ্ধা জানাতে শহিদ মিনারে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ঢল নেমেছে। করোনার কারণে সারাদেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারগুলোতে দলে দলে ফুল নিয়ে হাজির হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ভাষা বীরদের।