পাবনার ক্ষুদে গণিতবিদ ওয়ালিদ; মুখেই বলে দেন হিসাব

কারও জন্ম তারিখ বললে মুখে মুখে বলে দিতে পারে বয়সের জটিল হিসাব। এজন্য প্রয়োজন হয় না কেন ধরনের ক্যালকুলেটরের। শুধু বয়স গণনা নয়, খাতা কলম ছাড়াই যোগ বিয়োগসহ গানিতিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। মাত্র নয় বছর বয়সের বালক জারিফ ইকবাল ওয়ালিদ।

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারীনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জারিফ। ছয় বছর বয়স থেকেই গণিতের ওপর অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে তার। এত ছোট বয়সেই কারও জন্ম সাল শুনলেই নিমিষেই বলে দিতে পারে সেই মানুষটির বয়সের হিসাব।

মনে মনে অংকই যেন‌‌ তার খেলা। বাড়ি থেকে জারিফকে নিয়ে বাইরে বেরোতেই চোখে পড়ে তাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ। তাকে পেলেই ঘিরে ধরে জন্ম সাল, জন্ম তারিখ বলে নিজের সঠিক বয়স শুনে নেয় লোকজন।

কেউ কেউ দূর থেকে ‘খুদে গণিতবিদ’ বলে ডাকছে। স্থানীয় বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীকে দিয়ে জারিফকে বিভিন্ন সংখ্যার যোগ-বিয়োগ, গুণন-ভাগ ও জন্ম তারিখ বিষয়ে পঞ্চাশের অধিক প্রশ্ন করানো হয়। মুহূর্তের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করে জারিফ।

জারিফ জানায়, ছোটবেলা থেকেই তার অংকের হিসাব করতে ভুল হয় না। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হতে চায় সে। জারিফ-কে এখন সবাই চেনে ক্ষুদে গণিতবিদ বা বিস্ময় বালক হিসেবে।

তার এমন গুনের কদর করছেন শিক্ষক ও স্থানীয়রাও। তারা বলেন, জারিফ-কে যদি সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করা যায় তবে একদিন অবশ্যই বড় কোনো গণিতবিদ হবে বলে আমরা আশা করছি।

ছোট্ট ওয়ালিদের এমন প্রতিভায় খুশি তার বাবা-মা। জারিফের বাবা জাফর ইকবাল মন্টু একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করতে পারে সে জন্য আশা করছি।

বিস্ময়কর ওয়ালিদের কাছ থেকে সরাসরি গণিতের ধাঁধা শুনতে তার বাড়ি কিংবা স্কুলে ভিড় করছেন দূর-দূরান্তের মানুষ।

অন্যদিকে ফরিদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাপ হোসেন জানান, জারিফ শুধু আমার উপজেলার অহংকার নয়; সমস্ত পাবনা জেলার একজন গর্বিত ছাত্র হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জারিফের ভবিষ্যতের উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে দোয়া কামনা করেন তিনি।