শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯
গত শতাব্দীর শেষ দিকেও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে পেশাদারির ছোঁয়া ছিল না বললেই চলে। ভালো লাগা বা শরীরচর্চার অংশ হিসেবে খেলাতে নাম লেখাতেন সবাই। এ ছাড়া কোনো মা-বাবা শখের বশেই সন্তানদের হাতে তুলে দিতেন ব্যাট অথবা ফুটবল। আবার যে ছেলেটার পড়ার টেবিলে মন বসে না, তার বাঁধভাঙা আগ্রহের কাছেও হার মানতেন অভিভাবকেরা। সময়ের পালাবদলে ক্রীড়া এখন অন্যতম সেরা সম্মানজনক পেশা। ভালো খেলতে পারলেই অর্থকড়ির সঙ্গে যশ-খ্যাতি! ফলে বর্তমানে অভিভাবকেরাও চান তাঁর সন্তান খেলোয়াড় হোক। আর এ জন্য চাই সঠিক গাইডলাইন।
এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। যেখান থেকে উঠে এসে বিশ্ব ক্রিকেট মাতাচ্ছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, আবদুর রাজ্জাকদের মতো ক্রিকেটার। তাই অনেকেই ভেবে থাকেন, ছেলেকে একবার বিকেএসপিতে দিতে পারলেই সে-ও বুঝি হয়ে গেল মস্ত বড় ক্রিকেটার। বিকেএসপিতে ভর্তি হতে পারলে ভালো একটা গাইডলাইন পাওয়া যাবে নিশ্চয়ই। কিন্তু ব্যক্তিগত মেধা ও পরিশ্রম ছাড়া ক্রীড়ায় সাফল্য পাওয়া যায় না বললেই চলে। আবার সঠিক উপায়ে পরিশ্রমের পথটা জানা উচিত। সে পথটা দেখিয়ে দিতে পারে বিকেএসপি। শুধু ক্রিকেট নয়, সব খেলাতেই আছে খেলোয়াড় তৈরির এ কারখানার ছাত্রছাত্রীদের প্রাধান্য। ফুটবলে উঠে এসেছেন মাসুদ রানা, হাসান আল মামুন, ফিরোজ মাহমুদ টিটু, জাহিদ হাসান এমিলির মতো তারকারা, যাঁরা দীর্ঘ সময় দেশের ফুটবলে পতাকা বহন করেছেন। হকিতে আছেন মামুনুর রশিদ ,রাসেল মাহমুদ জিমিরা। এ ছাড়া একক খেলাগুলোতে তৈরি হয়েছেন শুটার আসিফ হোসেন, আবদুল্লাহ হেল বাকি, সাঁতারু মাহফুজার আক্তার শিলার মতো তারকারা।
ভর্তির সময় ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে চারদিন ব্যাপী বাছাই প্রক্রিয়া। আর্চারি, অ্যাথলেটিকস, বাস্কেটবল, বক্সিং, ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, জুডো, শুটিং, সাঁতার, টেনিস, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, কারাতে, উশু ও ভলিবল—এই ১৭টি খেলায় আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বিকেএসপিতে।
ভর্তির নিয়মকানুন সাধারণত চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিবছর একেকটি খেলায় যে কটি আসন খালি হয়, তার বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়। বিকেএসপির প্রশিক্ষণকেন্দ্রে নির্দিষ্ট দিনে প্রশিক্ষণার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তির জন্য বাছাই করা হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে সাধারণত স্বাস্থ্য ও বয়স দেখা হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে দেখা হয় শারীরিক সক্ষমতা। তৃতীয় পর্বে শিক্ষার্থীকে মাঠে পাঠানো হয়। সেখানে আবেদন অনুযায়ী নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণদের পরবর্তী সময় সাত দিনের বাছাই ক্যাম্পে ডাকা হয়। সপ্তাহব্যাপী সকাল-বিকেল অনুশীলনের পর নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা হয় ১০০ নম্বরে। বিষয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়