বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২০
করোনা সংকটে হাট বন্ধ থাকায় কাপড় বিক্রি না হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে পাবনার তাঁতশিল্প। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে এরই মাঝে বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ তাঁত। চালু থাকা তাঁতকলগুলোও পুঁজিসংকটে চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বেকার হয়ে পথে বসার উপক্রম মালিক ও শ্রমিকদের।
তাঁতসমৃদ্ধ পাবনার দোগাছি গ্রাম। সারা দিন হস্তচালিত ও যান্ত্রিক তাঁতের খটখট শব্দে কর্মমুখর গ্রামটির অধিকাংশ তাঁতকলই এখন বন্ধ। যেগুলো চলছে সেসব কারখানার বন্ধ পড়ে থাকা এসব তাঁতগুলোই জানান দিচ্ছে বর্তমান অবস্থার হাল।
করোনায় এ বছর বেচাকেনা হয়নি গত নববর্ষ ও দুই ঈদেই। দুর্গাপূজাতেও শাড়ি লুঙ্গি নিতে আসেননি বেপারিরা। এসব উৎসব সামনে রেখে ব্যাংকঋণ নিয়ে তৈরি পণ্যগুলো অবিক্রীত থাকায় বেড়েছে লোকসানের বোঝা।
কেউবা কমদামে বিক্রি করে হারিয়েছেন পূঁজিও। ক্রমাগত লোকসান আর করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাঁতসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, করোনায় সরকারের দেয়া প্রণোদনা পৌঁছায়নি তাদের হাতে। কয়েক গুণ বেড়েছে রং, সুতাসহ কাঁচামালের দাম। তাঁত মালিকরা ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ায় কর্মহীন শ্রমিকরা।
তাঁত মালিক বাদশা মিয়া বলেন, প্রণোদনা তো দিছে কিন্তু সহযোগিতাটাতো আমাদের পেতে হবে। আমরা কার কাছে যাব?
তবে তাঁতশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রণোদনা, ব্যাংকঋণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। পাবনায় প্রায় আড়াই লাখ তাঁত থাকলে বর্তমানে সচল এক তৃতীয়াংশ। এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৭ লাখ মানুষ জড়িত।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়